ফের বজ্রপাত : মৃত ৩ , জখম ৪

3rd August 2021 3:55 pm বাঁকুড়া
ফের বজ্রপাত  : মৃত ৩ , জখম ৪


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বজ্রপাতে বাঁকুড়ায় মৃত্যু হল তিন জনের । ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চার জন । আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া এবং পাত্রসায়ের থানার গড়িয়া গ্রাম এলাকায় । জানা গেছে মৃতদের নাম জাহিরুল শেখ , মঙ্গলা বাউরী । এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মন্দিরা বাউরী , সজলা বাগদী , সনকা বাউরী ও ঋতু বাউরী । আহতদের বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়েছে । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃত দুই ও আহত চার ব্যাক্তি প্রত্যেকের বাড়ি বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পিয়ারবেড়া গ্রামে । জমিতে ধান রোপণের কাজ করতে বড়জোড়া ব্লকের পার্শ্ববর্তী হাট আশুড়িয়া এলাকার কোটালপুকুর গ্রামে আসেন তাঁরা । জানা গেছে কোতালপুকুর গ্রাম লাগোয়া একটি জমিতে এদিন ধান রোপণের কাজ করছিলেন পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে দশ জন । দুপুরে আচমকাই বৃষ্টি শুরু হয় । এই সময়ই বজ্রপাত হলে শ্রমিকদের প্রায় সকলেই লুটিয়ে পড়েন । ঘটনায় কমবেশি আহত হন সকলেই । এরমধ্যে ৬ জনের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই ব্যাক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা  । বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক আলোক মুখোপাধ্যায় ।  অন্যদিকে পাত্রসায়ের ব্লক এর ধগড়িয়া রুইদাস পারায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক মাস বয়সী মহিলার মৃতের নাম কাকলি রুইদাস বয়স ৩০ বছর স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায় মৃত ওই মহিলা কাজ করতে মাঠে গিয়েছিলেন ঠিক তখনই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পাত্রসায়র থানা পুলিশ দ্রুততার সাথে নিয়ে আসে পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে এরপর পাত্রসায়র থানা পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল পাঠায় ।
    





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।